Pages

Looking for Life in the Multiverse

Looking for Life in the Multiverse
আমাদের এই ছোট সবুজ পৃথিবী ছাড়া এই বিশাল মহাবিশ্বে আর কি কোথাও প্রাণের কোনো অস্তিত্ব নেই? যুগ যুগ ধরে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। আমাদের ছায়াপথে রয়েছে ছয় হাজার কোটিরও বেশি পৃথিবী-সদৃশ গ্রহ। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এসব গ্রহের কোথাও না কোথাও প্রাণের উদ্ভব সম্ভব।

বাস্তবে এখনও খোঁজ না পেলেও গল্প-কাহিনি আর বিজ্ঞান কল্প লেখকদের কল্পনায় কখনও ধরা দিয়েছে ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েন। মহাকাশে যান পাঠিয়ে চলছে তাঁদের খোঁজে গবেষণা। অপেক্ষার পালা শেষে একদিন হয়তো মহাজগতের কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীর খোঁজ মিলতেও পারে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা সম্প্রতি আশার পালে হাওয়া জোগানোর মতো একটি খবর শুনিয়েছেন। গবেষকেরা জানিয়েছেন, আমাদের সৌরমণ্ডল যে ছায়াপথে অবস্থিত সেই মিল্কিওয়ে ছায়াপথেই রয়েছে ৬০ বিলিয়নের বেশি বসবাসযোগ্য গ্রহ। এসব গ্রহের কোথাও না কোথাও থাকতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি শিকাগো ও নর্থ-ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা হিসাব করে দেখেছেন আমাদের ছায়াপথে অসংখ্য বাসযোগ্য গ্রহ রয়েছে। এর আগে গবেষকেরা যতো গ্রহে প্রাণের উদ্ভব সম্ভব বলে মনে করতেন বর্তমান গবেষণায় তার চেয়েও ঢের বেশি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা।

ছায়াপথে মহাজাগতিক মেঘের আচরণ বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র সূর্যের মতো মিল্কিওয়ে ছায়াপথে অসংখ্য লাল বামন নক্ষত্র রয়েছে। আর এ নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে অসংখ্য প্রাণ-ধারণের উপযোগী পরিবেশযুক্ত গ্রহ রয়েছে। এসব গ্রহের পৃষ্ঠে পানি বা তরলের উপস্থিতি থাকতে পারে বলেও ধারণা করছেন তাঁরা।
নাসার কেপলার মিশনের তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানিয়েছে, মিল্কিওয়ে ছায়াপথের প্রতিটি লাল বামন নক্ষত্রকে ঘূর্ণায়মান গ্রহগুলোর মধ্যে অন্তত একটি করে পৃথিবীর মতো গ্রহ থাকতে পারে।

গবেষক নিকোলাস কোয়ান বলেন, আমাদের ছায়াপথে সূর্যের মতো কম শক্তির ও ক্ষুদ্রাকার নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ গ্রহগুলো আবর্তিত হচ্ছে। গবেষকেরা তাঁদের তত্ত্ব প্রমাণের জন্য গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন এবং জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করছেন।

তিন তারার গ্রহ


সম্প্রতি জার্মানির গবেষকেরা পৃথিবী থেকে কে ২২ আলোকবর্ষ দূরে প্রাণের উপযোগী নতুন তিনটি গ্রহ আবিষ্কারের দাবি করেছেন। ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ গ্রহ তিনটি আমাদের সৌরমণ্ডল-সদৃশ একটি সৌরমণ্ডলে রয়েছে। গ্লিজ ৬৬৭ সি নামে একটি লাল বামন নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে এ তিনটি গ্রহ আবর্তন করছে বলে জানিয়েছেন তারা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করছেন গ্রহগুলো প্রাণ ধারণের উপযোগী হবে। ‘গ্লিজ ৬৬৭সি’কে কেন্দ্র করে প্রায় সাতটি গ্রহ আবর্তন করছে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। এর মধ্যে তিনটি গ্রহের তাপমাত্রা এমন যে, সেখানে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনটি গ্রহ আকারে পৃথিবীর চেয়ে বড় এবং নেপচুনের চেয়ে ছোট। গ্রহগুলোর আকাশে দিনে তিনটি সূর্য দেখা যায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ তিনটি গ্রহের আবিষ্কারের সাফল্যে গবেষকেরা আশা করছেন প্রাণের উপযোগী অসংখ্য গ্রহ আমাদের ছায়াপথের মধ্যেই রয়েছে।

ছায়াপথ পাড়ি দিচ্ছে ভয়েজার ১


মহাকাশের রহস্যের জাল ভেদ করতে এতদিন সৌরজগতের অভ্যন্তরেই কেন্দ্রীভূত ছিল মহাকাশ-বিজ্ঞানীদের অভিযান। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো সৌরজগতের বাইরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানীরা। আর এ ক্ষেত্রে তাঁরা সফল হওয়ার পথে বলেও দাবি করছেন।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, সৌরজগতের প্রান্তসীমা অতিক্রম করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার উেক্ষপণ করা নভোযান ভয়েজার ১ বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১৮ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে ৩৫ বছর আগে পৃথিবী ছাড়া এ নভোযানটি। তাঁরা বলছেন, হয়তো খুব শিগগিরই সৌরজগতের সীমা অতিক্রম করে যাবে মানুষের তৈরি কোনো মহাকাশযান। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সৌরজগতের বাইরে গিয়ে মহাকাশ গবেষণার নতুন দিক উন্মোচনের দীর্ঘ অপেক্ষা শিগগিরই শেষ হবে। এ নভোযানটি ২০২০ সাল পর্যন্ত সংকেত পাঠাতে সক্ষম হবে। এরপর এটা নিশ্চুপ হয়ে যাবে অর্থাত্ এরপর যানটি পাড়ি দেবে অজানার পথে। ধারণা করা হচ্ছে, এসি+৭৯৩৮৮ নামক নক্ষত্রের দিকে ছুটতে থাকবে এ নভোযানটি। কোনো দুর্ঘটনা ছাড়া ৪০ হাজার বছর বছরের পথ পাড়ি দিয়ে দুই আলোকবর্ষ দূরের এ নক্ষত্রটির দিকে ছুটে যাবে মানুষের তৈরি এ নভোযান। তাই ভয়েজার ১ থেকে অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্র সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানা সম্ভব হবে না।

মহাবিশ্বের অজানা রহস্য


আমাদের এই মহাবিশ্ব কি একটাই? নাকি অনেক বিশ্বের ভিড়ে আমাদের এ বিশ্ব নিতান্তই ক্ষুদ্র এক গণ্ডি? আদতে অতি সহজ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ৪০০ বছর ধরে বিরামহীন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকেরা। ১৬ শতকের জ্যোতির্বিদ জোহান কেপলার থেকে শুরু করে এ যুগের স্টিফেন হকিং পর্যন্ত মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ধারে বিভিন্ন তত্ত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। তবে কসমোলজি বা বিশ্ব সৃষ্টির রহস্য উদ্ঘাটনে গবেষকদের সাম্প্রতিক গবেষণার ফল বলছে, এই মহাবিশ্বে কোটি কোটি বিশ্বের সঙ্গী আমাদের এই বিশ্ব। অর্থাত্ কোটি কোটি বিশ্ব নিয়ে তৈরি এই অনন্ত-বিশ্ব বা মাল্টিভার্স। আর এ মাল্টিভার্সের কোথাও না কোথাও রয়েছে বুদ্ধিমান কোনো প্রাণী বা এলিয়েন। সেই এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে নানা গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। এমনই কিছু তথ্যভান্ডার রয়েছে ভয়েজার ১-এ।
ভয়েজার ১ এ রয়েছে মানুষ ও পৃথিবী সম্পর্কিত তথ্য। গবেষকেরা বিশ্বাস করেন, কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী হয়তো একদিন এ তথ্য সংগ্রহ করতেও পারে!

Video

Reference =click here
Looking for Life in the Multiverse

No comments:

Post a Comment