Pages

Human Beings in Future and Science

একটি কল্পবিজ্ঞান
২১৫০ সাল। মানুষ নামে কোনো প্রাণী এখন আর পৃথিবী শাসন করে না । সেটা কবে কখোন করতো গ্যালাক্সি আর্কাইভে বিষয়টি জানা যায় । জ্ঞানবিজ্ঞানের অগ্রগতি একটি পর্যায়ে এসে থমকে গিয়েছিল পৃথিবী নামক গ্রহটিতে । চিকিৎসা বিজ্ঞানে যথেস্ট উন্নতি করা সত্তেও মৃত্যুকে জয় করা যাচ্ছিল না কিছুতেই । ক্লোন মানব উৎপাদনে ও বিশেষ কোনো ফল লাভ হচ্ছিল না । ব্যক্তিত্বের সংঘাত এড়ানো যাচ্ছিল না ক্লোন বনাম জেনুইনদের মাঝে ।এক পর্যায়ে বিজ্ঞানিরা আবিস্কার করল বিজ্ঞানের অগ্রগতির বিরুদ্ধে মানুষ নিজেই হলো সবচেয়ে বড়ো এবং প্রধান অন্তরায় । কিভাবে ? মানুষের নশ্বর দেহ ! এই দেহ রক্ষা করতে ই মানুষের বুদ্ধিমত্তার একটি বিশাল অংশ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে । এই দেহ থেকে মুক্তি পেলেই বিজ্ঞানের প্রধান সাফল্য নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে । বিজ্ঞানের এই সাফল্যই মহাকাশ বিজ্ঞানে পুরো নিয়ন্ত্রন হুমানদের ( মানুষের দেহহীন সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তা) হাতে চলে আসে । আলোর চেয়ে দ্রুত গতি আর জৈব শারিরিক গঠনের প্রধান বাধা হয়ে থাকল না । ধাপে ধাপে হুমান’রা হাইপার জাম্প , সময় পরিভ্রমন আয়ত্তে নিয়ে আসল । এবং তথনই শুরু হলো বিজ্ঞানের মহাযাত্রা । আজ হলো সেই সময় । ২১৫০ সাল। মৃত্যুহীন হুমান । জৈব শরির হতে সম্পুর্ণ আলাদা একটি সত্বা । কোনোভা্বেই একে আর মানব বলা যাবে না । কারণ বিশ্বজগতে মানব শরিরের সমাপ্তি(Termination) ঘটিয়ে রুপান্তরিত(Mutation) হয়েছে হুমানদের । ত্রিমাত্রিক জগতের সমস্ত ব্যবহারিক বিজ্ঞান এখানে অচল। হুমানদের অবস্থান সম্পুর্ণ ভিন্ন এক মাত্রায় । যেখানে অতিত বর্তমান ভবিষ্যৎ কাল বলে কোনো কিছুরই অস্তিত্ব নেই । যাকে বলা হয় মহাকাল । মহাকালে মহাশক্তিধর হুমানদের অবস্থান ।

Small Business Ideas | Business Ideas | List of Small Business Ideas | Business Blog

1 comment:

  1. গল্পটি বিশ্বাষ করতে ইচ্ছা করে ।

    ReplyDelete