Pages

God and Religion Tangle


 ঈশ্বর এবং ধর্ম বিভ্রান্তি

প্রকৃতপক্ষে এখন পর্যন্ত মানুষ জানে না তার গন্তব্য কোথায় । আল্লাহ ভগবান নাকি ঈশ্বরে শেষ হবে তার গন্তব্য । এই অন্ধত্বের অভিশাপেই কেটে যায় সমস্ত জীবন । একটা বিষয় খেয়াল করার মতো জ্ঞান সে নিজে থেকে সাধারণত উপলব্ধি করে না যে প্রচলিত সমস্ত ধর্ম
আসলেই অমৌলিক ভ্রান্ত ধারণা । বিষয়টি গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করলে ধর্ম বিষটি যে একটা বিরাট ধোকা তা উপলব্ধি করা যায় । সেই আদিকাল থেকেই ধারাবাহিকভাবে প্রতিয়মান হয় যে প্রায় প্রতিটি ধর্মেরই কোনো না কোনো ভাবে একটা সংবিধান(Constitution) বিদ্যমান যা কিনা ধর্মগ্রন্থ নামে পরিচিত। এই ধর্মগ্রন্থ আসলে কি ? কিভাবে এর উৎপত্তি ? কেনই বা প্রায় প্রতিটি ধর্মেরই ধর্মগ্রন্থ বিদ্যমান । ঈশ্বর যদি কোনো সুপার পাওয়ারই হয় তাহলে কি তার মানুষের কাছে ধর্মগ্রন্থ প্রেরণের যোক্তিকতা আদৌ প্রয়োজন হয় , যেখানে প্রাণী দেহের প্রতিটি কোষের ডিএনএ প্রোফাইলে(Profile) ধারণ করে তার সৃষ্টি রহস্য । তথাকথিত সেই কাল্পনিক ঈশ্বরের কোনো রকম ধারনাই নেই যে ডিএনএ প্রোফাইল আসলে কি বস্তু ! যে প্রোফাইল সামান্য অদল-বদলে ঘটে যেতে পারে প্রকৃতিতে বিশাল কোনো পরিবর্তন(Mutation)। যেই ঘটনার প্রেক্ষিতে তথাকথিত ঈশ্বর হয়ে যায় পুরোপুরিই নিস্ক্রিয় । মানুষের নিকটতম প্রতিবেশী প্রাণী গরিলা কিংবা শিম্পাঞ্জি, তাদের সমাজ ব্যবস্থায় লক্ষ্য করলে একটিা বিষয় খুবই গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে পরে, তা হলো তাদের অনেক আচরনই মানুষের কাছাকাছি । সবচেয়ে বড়ো যে বিষয়টি, তারা সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে । কিন্তু তাদের কোনো ধর্মবাণী কিংবা ধর্মগ্রন্থের প্রয়োজন হয় না তাদের জীবন পরিচালনায় । তারা শুধু মাত্র মস্তিষ্ক জনিত অভিব্যক্তির(Reflex) প্রেক্ষিতে আচরণ সমৃদ্ধ হয় ।  কিন্তু তাদের চেয়ে উন্নত মস্তিকের অধিকারী হয়ে মানুষ কিছু ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থের কাছে জিম্মি হয়ে পরে, যা কিনা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণীত হয় এটা ধাপ্পাবাজি(Hoax) ছাড়া কিছু্ই নয় । শুধুমাত্র সমুহ কিছু নিয়ম প্রণালীতে এটা প্রতিয়মান হয় পৃথিবীর তাবৎ প্রচলিত ধর্মগ্রন্থই মনুষ্য সৃষ্ট এবং প্রচলিত ঈশ্বর চিন্তা মানুষের উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা ব্যাতিরেকে কিছুই নয় ।

No comments:

Post a Comment