Pages

Does God Exist?

অজানাকে জানার আগ্রহ মানুষের সহজাত । মানুষের এই প্রবৃত্তি কোথা থেকে ? এ যেন এক নেশা ! মরণ নেশা ! কোনো বাধাই দমিয়ে রাখতে পারে না মানুষের কৌতুহলকে । এগিয়ে যাবে নিশ্চিত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে । বিজয়ের পতাকা উড়াতেই হবে ! সে সুউচ্চ পর্বতমালা হোক কিংবা গহীন অরন্য কিংবা মহাকাশ ! বাধা ডিঙ্গাতেই হবে । যে কোনো কিছুর বিনিময়ে । প্রাণ চলে যাবে ? যাক ! বিজয়ের পতাকা চাই । ঈশ্বরকে পদতলে পিষ্ট করে বিজয়ের পতাকা উড়াবে, সে আর কেও নয় ; মানুষ ।

ঈশ্বর, সেতো এক অন্ধকার । সে কোনো আলোর দিশারি নয় । শুধু এক অন্ধজ্ঞান । বেদ কুরআন বাইবেল অন্ধকারের মরিচিকা, মানুষকে কখোনো আলোর পথের সন্ধান সে দেয়নি । মানুষে মানুষে করেছে ভেদাভেদ । ঝরিয়েছে মানুষেরই রক্ত । স্বার্থের অনলে পুরিয়েছে সমগ্র মানব জাতিকে । এবার এসেছে দিন বদলের পালা । ঈশ্বরকে বন্দি করবে মানুষ । ঈশ্বর হবে ভৃত্য মানবের । পদতলে পিষ্ট হয়ে যাবে যত বেদ কুরআন আর বাইবেল । হবে জয় মানবের ।

There is Doesn't God Exist

বিশ্বভ্রহ্মান্ডের সর্বমাত্রার মহাশক্তিধর মহাজ্ঞানী “মহাশুন্য” তথাকথিত কোনো আল্লাহ , ভগবান , ঈশ্বর নয় । তারা এক ও নয়, বহু ও নয় । তারা কোনো বিশ্ববাণী কিংবা ঐশী বানী প্রেরণ করে নাই । কোনো ঐশী প্রাণও প্রেরণ করে নাই । তারা শ্রদ্ধেয় নয় , পুজনিয় ও নয়, তারা দয়াময়ও নয় , ক্রোধপরায়ন ও নয় । তাদের ইচ্ছা নেই অনিচ্ছাও নেই । তারা অতিতে নেই বর্তমানে নেই এমনকি ভবিষ্যতেও নেই । মহাকাল অনন্ত মহাশূন্যই তাদের অস্তিত্ব । তারা শূন্য । শূন্য দ্বারাই শূন্য অবলোকন করা যায় । আপনার ভেতরে অনন্ত অসীম শূন্যতা দিয়ে তাদের অনুভব করুন । বিজ্ঞান বা বিশেষ কোনো জ্ঞান দ্বারা অবলোকন করার প্রযুক্তি একদিন হয়ত আবিষ্কার হবে , সেদিন সকল মিথ্যা কাল্পনিক ধর্ম বিলীন হবে।

Human Beings in Future and Science

একটি কল্পবিজ্ঞান
২১৫০ সাল। মানুষ নামে কোনো প্রাণী এখন আর পৃথিবী শাসন করে না । সেটা কবে কখোন করতো গ্যালাক্সি আর্কাইভে বিষয়টি জানা যায় । জ্ঞানবিজ্ঞানের অগ্রগতি একটি পর্যায়ে এসে থমকে গিয়েছিল পৃথিবী নামক গ্রহটিতে । চিকিৎসা বিজ্ঞানে যথেস্ট উন্নতি করা সত্তেও মৃত্যুকে জয় করা যাচ্ছিল না কিছুতেই । ক্লোন মানব উৎপাদনে ও বিশেষ কোনো ফল লাভ হচ্ছিল না । ব্যক্তিত্বের সংঘাত এড়ানো যাচ্ছিল না ক্লোন বনাম জেনুইনদের মাঝে ।এক পর্যায়ে বিজ্ঞানিরা আবিস্কার করল বিজ্ঞানের অগ্রগতির বিরুদ্ধে মানুষ নিজেই হলো সবচেয়ে বড়ো এবং প্রধান অন্তরায় । কিভাবে ? মানুষের নশ্বর দেহ ! এই দেহ রক্ষা করতে ই মানুষের বুদ্ধিমত্তার একটি বিশাল অংশ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে । এই দেহ থেকে মুক্তি পেলেই বিজ্ঞানের প্রধান সাফল্য নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে । বিজ্ঞানের এই সাফল্যই মহাকাশ বিজ্ঞানে পুরো নিয়ন্ত্রন হুমানদের ( মানুষের দেহহীন সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তা) হাতে চলে আসে । আলোর চেয়ে দ্রুত গতি আর জৈব শারিরিক গঠনের প্রধান বাধা হয়ে থাকল না । ধাপে ধাপে হুমান’রা হাইপার জাম্প , সময় পরিভ্রমন আয়ত্তে নিয়ে আসল । এবং তথনই শুরু হলো বিজ্ঞানের মহাযাত্রা । আজ হলো সেই সময় । ২১৫০ সাল। মৃত্যুহীন হুমান । জৈব শরির হতে সম্পুর্ণ আলাদা একটি সত্বা । কোনোভা্বেই একে আর মানব বলা যাবে না । কারণ বিশ্বজগতে মানব শরিরের সমাপ্তি(Termination) ঘটিয়ে রুপান্তরিত(Mutation) হয়েছে হুমানদের । ত্রিমাত্রিক জগতের সমস্ত ব্যবহারিক বিজ্ঞান এখানে অচল। হুমানদের অবস্থান সম্পুর্ণ ভিন্ন এক মাত্রায় । যেখানে অতিত বর্তমান ভবিষ্যৎ কাল বলে কোনো কিছুরই অস্তিত্ব নেই । যাকে বলা হয় মহাকাল । মহাকালে মহাশক্তিধর হুমানদের অবস্থান ।